শুভর সঙ্গে আদৃত ফিরলো নিউইয়র্কের বাড়িতে। আয়ান অর্থাৎ আদৃত শুভ-আকাশের বিয়ের মন্ডপে আসা মাত্রই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। স্টার জলসার প্রিয় গভীর দাদাভাই কি আজকের পর্বে দেখা যাবে, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া আয়ানের কাছে ছুটে আসে সবাই। সেবন্তী, শুভ আর বাড়ির সবাই মিলে আদৃতকে চিনতে পারলেও জ্ঞান ফেরার পর আয়ান কাউকে চিনতে পারছে না।
চোখে জল ঝাপটা দিয়ে আদৃতের জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে রায় পরিবারের সবাই। এই দেখে সুনন্দা থেকে শুরু করে মোহনা আপার সবাই অবাক হয়ে যায়। এরপর, আয়ানের কাছে দৌড়ে চলে যায় মোহনা। আয়ানের জ্ঞান ফিরলেও রায় পরিবারের একে একে সবাই মিলে তাকে নিজের পরিচয় বলতে থাকলেও আদৃত কাউকে মনে করতে পারছে না।
এমন সময় শুভ ঠাকুরের কাছে গিয়ে প্রার্থনা করতে থাকে যে ভগবান আদিকে তাঁর কাছে এমনভাবে ফিরিয়ে দিয়েছে কিন্তু আদৃত তাঁকে মনে করতে পারছে না। তাই ভগবানের কাছে মাথা ঢুকে সাহায্য চাইতে থাকে।
এমন সময় আকাশ বলে ওঠে আয়ানকে তাঁর বোন এক্সিডেন্ট অবস্থায় খুঁজে পেয়েছিল। পরবর্তীতে, আয়ানের শারীরিক অবস্থা ঠিক হলেও সে সব স্মৃতিশক্তি হারিয়েছে। আরও বলে, তাঁদের এই মুহূর্তে সবার নিউইয়র্কে ফিরে যাওয়া উচিত। এরপর, পূরবী কেশবকে নিয়ে এলেও চিনতে পারে না।
এদিকে, মোহনা কিছুতেই আয়ানকে শুভর সঙ্গে ছাড়তে নারাজ। এমনকি মোহনা সবাইকে বলতে থাকে ‘আপনাদের বুঝতে কোথাও ভুল হচ্ছে ও আদৃত নয়, আয়ান’। মোহনা আয়ানকে কিছুতেই ছাড়তে পারবে না। এরপর, মোহনা প্রাইমারি সবাইকে জিজ্ঞাসা করে আপনারা বলেছিলেন আপনাদের ছেলে মারা গেছে তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব? এর উত্তরের শুভ বলে আদৃতের পিঠের ডানদিকে একটা লাল তিল রয়েছে, এই কথার মাধ্যমে প্রমাণ হল যে শুভরা যা বলছে তা সবই ঠিক। এমন সময় আয়ান নিজেই বলে ওঠে, ‘সে নিউ ইয়র্ক যেতে চায়, এমনকি ডাক্তারও তাকে সেই কথাই বলেছে। এতকিছু ঘটনা না ঘটলে সে আগামীকাল নিউইয়র্কের জন্য রওনা দিত’।
আরও পড়ুনঃ “আমি প্রতিটা মানুষকে স্বাধীনতা দিতে ভালোবাসি!” বিবাহ বিচ্ছেদের জেরে তীব্র একাকীত্ব গ্রাস করছে চিরসখার স্বতন্ত্রকে, বিচ্ছেদ কেন? মুখ খুললেন সুদীপ
এরপর, রায় বাড়ির সবার সঙ্গে আয়ান আসে নিউইয়র্কের বাড়িতে। বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালেও আয়ানের মোহনার সঙ্গে এখানে আসার স্মৃতি মনে পড়লেও আগের কিছুতেই মনে পড়ছে না। এরপর সেবন্তী পাগলের মতো বাড়ির ভেতর ঢুকে আসে এবং প্রদীপ দিয়ে বরণ করতে চায় নিজের ছেলে ও বৌমাকে। এমন সময় সেবন্তী স্মৃতিচারণা করে কাঁদতে থাকে। অবশেষে সেবন্তী নিজের আদিকে বরণ করে ঘরে তুলল।
“অনেকে আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকেন, বেশ লাগে! আমার স্ত’ন এতটা সুন্দর না, যতটা তাঁরা আঁকেন।”— নিজের ‘স্ত’ন-ফোকাসড’ কার্টুন প্রিন্ট করে রেখেছেন! স্বস্তিকার এই হাটখোলা স্বীকারোক্তিতে নেটপাড়ার লজ্জা!