বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roychowdhury)। তাঁর কর্মজীবনের শুরুতে সেনাবাহিনীতে যোগদানের ইচ্ছা পোষণ করতেন। তবে ভাগ্যের পরিহাসে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন এবং প্রভাত রায়ের “দুরন্ত প্রেম” (১৯৯৩) ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ঋতুপর্ণ ঘোষের “চোখের বালি” (২০০৩) ছবিতে অভিনয় করে তিনি বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন।
সম্প্রতি করণ জোহরের “রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি” ছবিতে আলিয়া ভট্টের পিতার চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বলিউডে প্রশংসিত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি ধারাবাহিকে অভিনয় করি, কর্ণ জোহর তা শুনে এখানকার মানুষের মতো নাক সিঁটকাননি।” এটি প্রমাণ করে যে প্রতিভা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জাতীয় স্তরে স্বীকৃতি অর্জন করা সম্ভব।
ব্যক্তিগত জীবনে টোটা ও তাঁর স্ত্রী শর্মিলি সম্প্রতি তাঁদের বিবাহিত জীবনের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছেন। টোটা সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “তুমি ছিলে তাই পঁচিশ বছর ধরে নানা ঘাত-প্রতিঘাত, ঝড়-ঝাপ্টা ও বিপদসংকুল পথ অনায়াসে অতিক্রম করতে পেরেছি।” এই উক্তি তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা ও পারস্পরিক সমর্থনের প্রতিফলন।
সম্প্রতি তাঁর কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “একটা সময় বলা হতো, আমার মধ্যে সব রকম উপাদান আছে কিন্তু অপরদিকে কাজ পাচ্ছি না। সময় আর কপালে দুটোকে অস্বীকার করা যায় না। একটা কথা আছে সময়ের আগে আর ভাগ্যের চেয়ে বেশি কেউ কোনোদিন পায়নি আর পাবেও না।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জীবনের উত্থান-পতন ও ধৈর্যের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুনঃ আগে লোকে জামাকাপড়ের ট্যাগ ঢুকিয়ে রাখত, এখন দামী ব্র্যান্ডের জামা পড়ে ট্যাগ বার করে রাখাটাই ফ্যাশন! কটাক্ষ মমতা শঙ্করের
টোটা রায়চৌধুরীর এই যাত্রা প্রমাণ করে যে সময় ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তাঁর জীবন ও কর্ম আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায় এবং শেখায় যে প্রতিভা, পরিশ্রম ও ধৈর্যের সমন্বয়ে জীবনে সাফল্য আসবেই।