চিকিৎসক হয়ে স্টাইপেন্ডও নেন আবার বিজ্ঞাপন করেও টাকা নিচ্ছেন? চিকিৎসা পরিষেবায় কতটা সময় দেন? আর জি কর কান্ডে এবার কোপে কিঞ্জল!

ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের নিশানায় এবার কিঞ্জল! ৮ প্রশ্নের মুখে জুনিয়র ডাক্তার তথা অন্যতম আরজিকর আন্দোলনকারী! আর জি কর ধর্ষণ কখন কাণ্ড নিয়ে বাংলা তোলপাড় হয়েছিল। উঠেছিল প্রতিবাদের ঝড়। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। সিবিআইয়ের তদন্তে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দিল্লির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি বোর্ডের মতে, এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড এক ব্যক্তির পক্ষে ঘটানো সম্ভব। ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে শিয়ালদহের জজ আদালত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করে। এছাড়া, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজকে চিঠি পাঠিয়ে পিজিটি কিঞ্জল নন্দ (Kinjal Nanda) সম্পর্কে আটটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে। কিঞ্জল একজন জুনিয়র ডাক্তার এবং আরজি কর কাণ্ডের অন্যতম আন্দোলনকারী। কিঞ্জল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে, পিজিটি হিসেবে তাঁর ভাতা, শুটিংয়ের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, ছুটির আবেদন করা হয়েছিল কি না, এবং শুটিংয়ের জন্য সময় কীভাবে বের করেছেন। এছাড়া, তাঁর কর্মক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে কিঞ্জল বলেন, “আমি আমার ব্যক্তিগত সময় কীভাবে ব্যয় করব, সেটা আমার বিষয়। আন্দোলনের কারণেই এসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।” মেডিক্যাল কাউন্সিলের পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বিরূপাক্ষ ও অভীকদের বিরুদ্ধে ওঠা প্রশ্নগুলির কী হবে?”

এর আগে, আরেক আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিয়েছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল। এই ঘটনাগুলিকে আন্দোলনের জেরে প্রতিহিংসার অংশ বলছেন অনেক জুনিয়র ডাক্তার। তবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ মনে করেন, এটি একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং নিয়ম ভঙ্গ না করলে আপত্তির কিছু নেই। বিপরীতে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, শাসকদল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, “এটি প্রশাসনিক বিষয়। নিয়ম না ভাঙলে কারও আপত্তি থাকা উচিত নয়।” তবে বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন যে শাসকদল প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে।

আরও পড়ুনঃ বিয়ের আগেই একে অপরের শত্রু হয়ে গেল প্রিয় দুই বন্ধু! শত্রুতার পিছনে কারণ কি?

এই পদক্ষেপ নিয়ে চিকিৎসক মহল এবং রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে। অনেকেই এটিকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যবস্থা হিসেবে দেখছেন। এই পরিস্থিতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি আন্দোলনকারীদের দমন করার কৌশল।