আমরা জানি বাংলা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে তার ভাগ্য নির্ণয় করে টিআরপি। যে ধারাবাহিকের টিআরপি বেশি সে থাকে সবার উপরে আর যে ধারাবাহিকের টিআরপি তুলনামূলকভাবে কম হতে থাকে সেগুলি আস্তে আস্তে নিচের দিকে স্থান পেতে থাকে। আর ধারাবাহিকের ফলাফল নির্ধারণের দিন বৃহস্পতিবার।
অর্থাৎ গতকাল বেরিয়ে গেছে ধারাবাহিকের ফলাফলগুলি। এতদিন ধরে ক্রমাগত নিজেকে শীর্ষস্থানে ধরে রাখা মিঠাইয়ের উপর হামলা করেছে কখনো গাঁটছড়া, কখনো লক্ষ্মী কাকিমা আবার কখনো ধুলোকণা। ফলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা লেগেই রয়েছে ধারাবাহিকগুলির ক্ষেত্রে।
এদিকে মিঠাইয়ের জনপ্রিয়তায় যে ভাটা পড়েছিল তা পুষিয়ে দিয়েছে রুদ্র নিপার বিয়ে এবং মিঠাইয়ের বুকে গুলি লাগা। এদিকে আবার দু সপ্তাহ আগেই বেঙ্গল টপার হয়েছিল লক্ষ্মী কাকিমা। এই সপ্তাহে লক্ষ্মী কাকিমা পেয়েছে ৭.৮। কিন্তু নজর কেড়ে নিয়েছে আলতা ফড়িং কারণ ফড়িং পেয়েছে ৭.৫।
এবার নাকি অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে খড়ি এবং ঋদ্ধি। কয়েক সপ্তাহ আগেই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলের মিঠাই-উচ্ছে বাবু এবং খড়ি-ঋদ্ধির মধ্যে জোরদার লড়াই চলছিল। কিন্তু এই সপ্তাহে পিছিয়ে গেল সিংহ রায় পরিবার। ৭.৪ পেয়েছে।
এদিকে পঞ্চম স্থানে এসেছে ৭.৩ নম্বর পেয়ে গৌরী এলো। কিন্তু এই সপ্তাহে এগিয়ে যেতে পারলো না লালন-ফুলঝুরি। ধুলোকণা এবার পেয়েছে ৬.৮।
তবে এবারে একটি বিশেষ বিষয় চোখে পড়েছে। গত সপ্তাহের থেকে তুলনায় সবকটি ধারাবাহিকের টিআরপি কমে গেছে এই সপ্তাহে। কেন এমনটা হল? সব ধারাবাহিক একসঙ্গে কেন এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল?
যদিও একাংশ অনুমান করছে এজন্য অনেকাংশ দায়ী প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে যেভাবে নাটকীয় মোড় এসেছে তাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সমস্ত নজর কেড়ে নিয়েছে বাংলার, এমনটাই মনে করছে অনেকে।